গাড়িমালিকদের জন্য সুখবর, সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

Passenger Voice    |    ১১:২৮ এএম, ২০২৪-০৪-১৭


গাড়িমালিকদের জন্য সুখবর, সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

সাত ধরনের গাড়ির ক্ষেত্রে মোটরযান নিবন্ধন বা ফিটনেস নবায়নকালে কোনো প্রকার অগ্রিম কর দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। গত ৮ এপ্রিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) করনীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত স্পষ্টীকরণ চিঠি দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

অগ্রিম কর সুবিধার তালিকায় আছে- সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলতে সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ); সরকার বা স্থানীয় সরকারের অধীন কোনো প্রকল্প, কর্মসূচি বা কার্যক্রম; কোনো বৈদেশিক কূটনীতিক, বাংলাদেশে অবস্থিত কোনো কূটনৈতিক মিশন,  জাতিসংঘ ও ইহার অঙ্গ সংগঠনের দপ্তরসমূহ; বাংলাদেশের কোনো বিদেশি উন্নয়ন অংশীদার এবং ইহার সংযুক্ত দপ্তর বা দপ্তরসমূহ; সরকারের এমপিওভুক্ত  কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা।

করনীতি বিভাগ থেকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১৫৩(৫) অনুযায়ী ওই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ধারা মোটরযান নিবন্ধন বা ফিটনেস নবায়নকালে কোনো প্রকার অগ্রিম কর সংগ্রহ প্রযোজ্য হবে না। আর ওই সুবিধা পাওয়ার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কোনো সনদের প্রয়োজন হবে না।

সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে গাড়ির অগ্রিম কর বৃদ্ধি করা হয়। ১৫০০ সিসি পর্যন্ত ব্যক্তিগত গাড়ির অগ্রিম কর ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়। বাংলাদেশে যত ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার হয়, এর প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি ১৫০০ সিসির কম।

১৫০০ সিসির বেশি; কিন্তু ২০০০ হাজার সিসির কম— এমন গাড়ির অগ্রিম কর ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা করা হয়। এ ছাড়া ২০০০ সিসি থেকে ৩০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির জন্য ১ লাখ টাকা এবং ৩০০০ সিসি থেকে ৩৫০০ সিসি পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা অগ্রিম কর দিতে হবে। এর বেশি সিসি হলে দুই লাখ টাকা অগ্রিম কর দিতে হবে।

প্যা/ভ/ম